# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধের পর বাঙ্গালী সমাজ ইংরেজদের অপশাসন মেনে নিতে পারেনি। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের মাধ্যমে।
- ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানি আমলের প্রথম আন্দোলন ফকির সন্ন্যাসী আন্দোলন ।
- ১৭৬০-১৮০০ সাল পর্যন্ত ফকির সন্ন্যাসী আন্দোলন চলে।
- ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধে মীর কাসিম ফকিরদের নিকট সাহায্য চেয়েছিলেন।
- বাংলার ফকির আন্দোলনের নেতা ফকির মজনু শাহ।
- সন্ন্যাসীদের নেতা ছিলেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরাণী।
- চাকমা বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেয় চাকমা রাজা জোয়ান বখস না।
- কারণ চাকমা রাজা জোয়ান বকসকে মুদ্রার রাজস্ব দিতে বাধ্য করা হয় ।
- পার্বত্য চট্টগ্রামে মুদ্রা অর্থনীতি প্রচলনের ব্যবস্থা করায় চাকমা বিদ্রোহ সংঘঠিত হয়।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- তিতুমীরের প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী।
- ডিমীর প্রথন বারাসাতে (চব্বিশ পরগনায়) ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
- বারাসাতের বিদ্রোহের পর ইংরেজদের সাথে যুদ্ধের আশঙ্কা করে তিনি নারিকেলবাড়িয়ায় বাঁশেরকেল্লা (১৮৩১) নির্মাণ করেন। তিতুমীরের তৈরি বাঁশের কেল্লা ইংরেজ সৈন্যরা ধ্বংস করে ১৮৩১ সালে।
- ইংরেজ লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে ইংরেজ কামানের গোলাতে তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়।
- প্রথম বাঙ্গালি হিসেবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করে শহীদ হন।
- এই যুদ্ধে তাঁর আরও চল্লিশ সহচর শহীদ হন।
- তার প্রধান সেনাপতি ছিলেন- গোলাম মাসুম।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন দুই ভাই সিধু ও কানু।
- ডালহৌসির সময়ে সাঁওতাল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।
১৮৫৬ সালে এনফিল্ড নামক এক প্রকার রাইফেল ব্যবহার শুরু হয়। এই বন্দুকের কার্তুজ দাঁত দিয়ে কেটে ব্যবহার করতে হতো। গুজব রটে যে, এই বলুকের কার্বুজ গরু ও শুয়োরের চর্বি নিয়ে তৈরী। হিন্দু-মুসলমান সৈনিকদের মনে ধারণা জন্মে যে, তাদের ধর্ম বিনষ্ট করার জন্য এই ব্যবস্থা করেছে। ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের দমদমে সিপাহি মঙ্গলপান্ডে কার্তুজ ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানান এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আক্রমণ করেন।
জেনে নিই
- সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয় ১৭৫৭ সালে।
- সিপাহী বিদ্রোহের নেতা হাবিলদার রজব আলী ও মঙ্গল পান্ডে।
- সিপাহী বিদ্রোহ সমর্থন করার ক্ষমতাচ্যুত হন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ।
- দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নির্বাসন দেওয়া হয়- রেঙ্গুনে (মিয়ানমার)।
- ১৮৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়ার নিকট থেকে ক্ষমতা গ্রহন করে রানী ভিক্টোরিয়া স্বয়ং।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- উনিশ শতকে বাংলায় গড়ে ওঠা একটি সংস্কার আন্দোলন হল ফরায়েজী আন্দোলন।
- ফরায়েজি শব্দটি আরবি শব্দ ফরজ (অবশ্যক পালনীয়) থেকে।
- এ আন্দোলনের প্রবক্তা হাজী শরীয়তউল্লাহ।
- হাজী শরীয়তউল্লাহ অনুগ্রহ করেন ফরিদপুর জেলায়।
- শরীয়তউল্লাহের মৃত্যুর পর এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তাঁর সুযোগ্য পুত্র মুহসিনউদ্দীন (দুদু মিয়া)। দুদু মিয়া এ আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ দেন ।
- দুদু মিয়া বলেন “জমি থেকে খাজনা আদায় আল্লাহর আইনের পরিপন্থী"।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইউরোপের শিল্প বিপ্লব (১৭৬০-১৮৪০) এর সময় বস্ত্রশিল্পের এক অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়। ফলে কাপড়ে রং করার জন্য নীলের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। এ ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় নীলচাষে বাধ্য করে ইংরেজরা। কিন্তু নীলকররা নীলচাষীদের নানাভাবে অত্যাচার করত, প্রাপ্য দিতনা। নীল চাষে অসম্মতি জানালে তাদের উপর নেমে আসত অবর্ণনীয় নির্যাতন। নীল ব্যবসার জন্য গড়ে উঠে নীল কুঠি।
জেনে নিই
- নীল চাষের প্রতিরোধে আন্দোলনে প্রথম প্রবাদ পুরুষ সর্দার বিশ্বনাথ।
- নীল বিদ্রোহের নেতা রফিক মন্ডল, বিচরণ বিশ্বাস ও দিগন্তের বিশ্বাস প্রমুখ।
- ১৮৬০ সালে সরকার গঠন করে 'নীল কমিশন' বা ‘ইন্ডিগো কমিশন’।
- ১৮৬২ সালে নীল বিদ্রোহের অবসান হয়।
- নীল চাষীদের অত্যাচারের কাহিনী নিয়ে দীনবন্ধু মিত্র রচনা করেন বিখ্যাত নাটক- ‘নীল দর্পণ' (১৮৬০)।
- ‘নীল দর্পণ’ এর ইংরেজি অনুবাদ - The Indigo Planting Mirror (মধুসুদন দত্ত)।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
১৮৭৫ সালের পর মুসলিমদের শিক্ষার উন্নয়নে আলীগড় কলেজকে কেন্দ্র করে যে স্বতন্ত্র রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ধারা সৃষ্টি হয়, তাকে আলীগড় আন্দোলন বলে। ১৮৭৫ সালে উত্তর প্রদেশের আলীগড়ে স্যার সৈয়দ আহমদ খান ‘মোহামেডান অ্যাংলো- ওরিয়েন্টাল কলেজ স্থাপন করেন। মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ’ ১৯২০ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।
১৯০৬ সালে ব্রিটিশ সরকার বৈপ্লবিক আন্দোলনকে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন হিসেবে, চিহ্নিত করে। ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবীদের লক্ষ্য ছিল প্রধান প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করা। ভূনিয়াম, প্রযুক্ত চাকী বিহারের ফোর্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করলে অন্য এক ইংরেজের স্ত্রী এবং কন্যা নিহত হয়। ক্ষুদিরাম ধরা পড়েন, বিচারে তার ফাঁসি হয়। প্রকৃত চাকী আহহত্যা করেন।
- চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের জন্য নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটের শিক্ষক মাস্টার সূর্যসেন।
- বিপ্লবী সূর্যসেন তার দল ও সাধারণ মানুষের কাছে মাস্টার দা নামে পরিচিত।
- ১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল অস্ত্রাগারটি লুণ্ঠন করা হয়।
- সূর্যসেনের ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকর করে ইংরেজ সরকার।
- পাহাড়তলী রেলওয়ে ক্লাব আক্রমণের নেতৃত্ব দেন বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
- ১৯৩২ সালে সেপ্টেম্বরে প্রীতিলতার নেতৃত্বে পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণ করে।
- এই ক্লাবের গেটে লেখা ছিল- এখানে কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ।
- ভারতের রাজনৈতিক সমস্যা নিরসনে ত্রিপস মিশন (১৯৪২) বার্থ হয়।
- মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। "ভারত ছাড়" (Quit India Movement) দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় ৮ই আগস্ট থেকে।
- এটি "আগস্ট আন্দোলন" নামেও পরিচিতি।
- আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ ও ইলা মিত্র।
- তেভাগা আন্দোলনের সময়য়াল ১৯৪৬-৪৭ খ্রিস্টাব্দ।
- এই আন্দোলন রংপুর ও তীব্র আকার ধারণ করে ১৯টি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।
- তেভাগা আন্দোলনের দাবী ছিল উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের এক ভাগ পাবে মালিক এবং দুই ভাগ পাবে চাষা
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- প্রতিষ্ঠাকাল- ২৮ ডিসেম্বর, ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ, মুম্বাই।
- এটি ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন।
- প্রতিষ্ঠাতা- ইংরেজ বেসামরিক কর্মকর্তা অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম।
- দলটির প্রথম সভাপতি উমেশ ব্যানার্জি।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- প্রতিষ্ঠাকাল- ৩০ ডিসেম্বর, ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায়।
- প্রকৃত নাম ছিল নিখিল ভারত মুসলিম লীগ।
- প্রতিষ্ঠাতা নবাব সলিমুল্লাহ, নওয়াব ভিকার-উল- মূলুক ও আগা খান।
- ১ম অধিবেশন ১৯০৬ খ্রি. আহসান মঞ্জিল, ঢাকা।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
একটি গ্রন্থের নাম
একটি পানীয়ের নাম
বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন
একটি NGO
- মুসলমানদের অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন।
- সৈয়দ আমীর আলী কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলিম বিচারপতি ছিলেন।
আমীর আলী রচিত বইয়ের নামঃ
- The Spirit of Islam
- A short History of the Saracens.
- দানশীলতার জন্য দানবীর বা বাংলার হাতেম তাই নামে পরিচিত হাজী মুহাম্মদ মুহসীন।
- তিনি সমাজ সেবক হলেও সমাজ সংস্কারক নন।
- ১৮৬৩ সালে কলকাতায় মুসলিম সাহিত্য সমাজ “মোহামেডান লিটারেরি সোনাইটি" প্রতিষ্ঠা করেন।
- মুসলমানদের শিক্ষা বিস্তারে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
- ১৯১৮ সালে প্রবর্তিত আইনের উদ্দেশ্য ছিল সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করা।
- এই আইনের প্রতিবাদে জালিয়ানওয়ালাবাগে অসংখ্য মানুষ সমবেত হয়।
- হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়- ১৩ এপ্রিল, ১৯১৯ সালে ২০০০ মানুষ হতাহত হয়।
- হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইটহুড (১৯১৫) উপাধি ত্যাগ করেন ১৯১৯ সালেই।
- জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে গুলি চালিয়ে যায় এক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়।
- ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিওয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অসহযোগ হল গণ আইন অমান্য করা।
- ১৯২০ সালে কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলন যুগপৎভাবে পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে, হিন্দু-মুসলিম ঐক্য গঠন হয় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে।
- ১৯২২ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি চৌরিচৌরা গ্রামে (উত্তরপ্রদেশ) উত্তেজিত জনতা থানায় আগুন লাগিয়ে দিলে ২২ জন পুলিশ সদস্য মারা যায়।
- ১৯২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন মোহনদাস করমচাদ গান্ধী।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- খেলাফত আন্দোলনের সূচনা ঘটে ১৯১৯ সালে।
- নেতৃতে ছিলেন- আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আলী ও মাওলানা শওকত আলী।
- উসমানীয় খেলাফতের অবসান ঘটে স্বৈরশাসক কামাল আতাতুর্কের হাতে ১৯২৪ সালে।
- ১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে স্বরাজ পার্টি গঠিত হয়।
- বাংলায় মুসলমানদের সাথে চিত্তরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে বঙ্গীয় কংগ্রেস কমিটি একটি সমঝোতায় এই সমঝোতাটি 'বাংলা চুক্তি বা 'বেঙ্গল প্যাক্ট' চুক্তি নামে পরিচিত।
- বাংলায় হিন্দু-মুসলমানের সম্পর্ক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে বেঙ্গল প্যাক্ট।
১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইনে ভারতবাসীর অধিকারের পূর্ণ প্রতিফলন না ঘটায় শাসনতান্ত্রিক সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৩৫ সালে ভারত শাসন আইনে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রদানের আইন করা হয়।
উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যঃ
- প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান নিশ্চিতকরণ।
- যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার প্রবর্তনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।
- বার্মাকে (মায়ানমার) ভারতবর্ষ হতে পৃথকীকরণ (১৯৩৭)।
- দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থাকরণ।
Read more